ঢাকা,বুধবার, ৬ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়ায় মুজিববর্ষে ১৮০ ভূমিহীন পরিবার নতুন ঘর পাচ্ছে 

এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া :: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী তথা মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ১৮টি ইউনিয়ন থেকে নির্বাচিত ক শ্রেণির ভূমিহীন পরিবারের মাঝে বন্দোবস্ত প্রদানের লক্ষ্যে কবুলিয়ত দলিল সম্পাদন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার ১৭ জানুয়ারী এ উপলক্ষে চকরিয়া সাব রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে কবুলিয়ত দলিল সম্পাদন কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে।

চকরিয়া উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার নাহিদুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ সামসুল তাবরীজ উপজেলার ১৮টি ইউনিয়ন থেকে নির্বাচিত ক শ্রেণির ভূমিহীন পরিবারের মাঝে বন্দোবস্ত কবুলিয়ত দলিল সম্পাদন পুর্বক দলিল বিতরণ করেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভুমি) মো.তানভীর হোসেন। এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন ভুমি কর্মকর্তা, সার্ভেয়ার ও সাব রেজিস্ট্রার কার্যালয়ের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাবৃন্দ।

উপজেলা প্রশাসন সুত্রে জানা গেছে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী তথা মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে প্রথমপর্যায়ে চকরিয়া উপজেলার ১৮টি ইউনিয়নে ভূমিহীন ৩৬টি পরিবারের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত উপহার নতুন ঘর দিয়েছেন। আর এসব পরিবারকে নতুন ঘর তৈরী করে দিতে জেলা প্রশাসনের এক নম্বর খাস খতিয়ানের অধীনে বেদখলে থাকা সরকারি খাসজমি উদ্ধারপুর্বক সেখানে নতুন ঘর নির্মাণ করে দিচ্ছেন উপজেলা প্রশাসন।

বর্তমানে উদ্ধার হওয়া খাসজমিতে নির্মাণ করা হচ্ছে প্রথমপর্যায়ে উপকারভোগী নির্বাচিত ভুমিহীন ৩৬টি পরিবারের জন্য নতুন ঘর। পরবর্তীতে উপজেলার ১৮টি ইউনিয়নে মোট ১৮০টি ভুমিহীন পরিবারকে দেওয়া হবে নতুনঘর। ইতোমধ্যে প্রকৃত ভুমিহীন যাছাই-বাছাই শেষে এ সংক্রান্ত একটি তালিকাও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। উল্লেখিত ঘরের বিপরীতে নির্বাচিত ক শ্রেণির ভূমিহীন পরিবারের মাঝে বন্দোবস্ত প্রদানের লক্ষ্যে কবুলিয়ত দলিল সম্পাদন কার্যক্রম ১৭ জানুয়ারী থেকে আনুষ্ঠানিক শুরু হয়েছে।

চকরিয়া উপজেলা প্রশাসন সুত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের অর্থবরাদ্দের আলোকে বর্তমানে উপজেলায় প্রথমধাপে নতুন ঘর পাচ্ছেন ৩৬ ভুমিহীন পরিবার। পরবর্তীতে উপজেলার ১৮টি ইউনিয়নে প্রতিটি ইউনিয়ন থেকে ঘর পাবেন ১০টি করে পরিবার। প্রতিটি ঘর নির্মাণে সরকারি বরাদ্দ ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা। মাটি ভরাটের কোন বরাদ্দ না থাকলেও সেটি করে দিচ্ছেন উপজেলা প্রশাসন। প্রতিটি সেমিপাকা ঘরে থাকছে ২টি রুম, একটি বারান্দা, একটি কিচেন, একটি ওয়াশরুম ও একটি বেসিন।

 

পাঠকের মতামত: